স্টাফ রিপোটার,ঈদগাঁও প্রতিনিধি
চট্রগ্রাম -ককসবাজার মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে টেক-বাঁক উভয় মুখী যাত্রীদের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে পড়েছে। আঁকা বাঁকা রাস্তা, সতর্কীকরণ চিহ্ন না থাকায় এসব এলাকায় দ্রুতগামী যানবাহন ও মালবাহী গাড়ী কোন না কোন ভাবেই দূর্ঘটনার কবলে পড়ার শংকা প্রকাশ করেন সচেতন লোকজন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, মহাসড়কের ছোট বড় অসংখ্য টেক-বাঁক রয়েছে। তৎমধ্যে খরুলিয়া,বাংলাবাজার,রামু,পানিরছড়া,জোয়ারিয়ানালা, ঈদগাঁও বাসষ্টেশন,ফকিরা বাজার,নাপিতখালী,মেধাকচ্ছপিয়া,ডুলা হাজারা, মালুমঘাটসহ বেশকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। দুর থেকে এসব স্থানে টেক-বাঁকগুলও দেখা না যাওয়ায় টেক-বাঁকে যানবাহনের ভয়া বহ দূর্ঘটনার আশংকায় চালকরা। মহাসড়কে অধিক বাঁকের পাশা পাশি ডজনাধিকের মত হাটবাজার থাকায় এটি উভয়মুখী গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মহাসড়কের উপর ব্যস্তবহুল ষ্টেশন বা বাজারে যত্রতত্র স্থানে এলোমেলো ভাবে যানবাহন দাঁড় করানোর ফলে যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে দীর্ঘসময়।
দেখা যায়, চট্রগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের টেক-বাঁকে বেশির ভাগ দূর্ঘটনা ঘটে অতিক্রম করার সময়। মহাসড়কের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্বি পাচ্ছে। পর্যটন শহরে নানা স্থরের মানুষের যাতায়াত বেড়েছে দ্বি গুণ পরিসরে। টেকবাঁক কিংবা ষ্টেশন ভিত্তিক বাজার এবং ঝুঁকিপূর্ণ অংশে কাজ করা জরুরী বলে মনে করেন অনেকে।
যানবাহন চালকদের মতে, ইসলামপুর নাপিতখালী মোড়ের বাঁকটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুতগতিতে যান চালিয়ে আসলে সহজে গতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়না অনেক সময়। মহাসড়কের কোথাও বাঁক-টেকে সতর্কীকরণ চিহৃ না থাকায় দূর্ঘটনার শংকা প্রকাশ করেন তারাও।
পথচারী শামসু জানান, মহাসড়কে টেকঁ-বাকের কারনে সাধারন মানুষের রাস্তা পারাপারে ব্যাঘাত করছে। এমনকি সড়কের পাশে গড়ে উঠা বাজারগুলোতে নিদিষ্ট পরিমান জায়গা খালী না রেখে ভ্রাম্যমান দোকানের পসরা বসায় কারনে যানসহ সর্বশ্রেনী পেশার লোকজনের ভোগান্তি বৃদ্বি বাড়ছে। লোকজনের দাবী, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যদি টেকবাঁকে সতর্কীকরণ চিহৃ বসায় তাহলে যেকোন সড়ক দূর্ঘটনা থেকে উভয়দিকের লোকজন রক্ষা পাবে।