এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও প্রতিনিধি
চারপাশে পাহাড়ে বন্দি। লেকের স্বচ্চ জলরাশি।শান্তির ছৌঁয়া লেগে আছে। পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাও রয়েছে লেকটিকে ঘিরে।
বিশেষ করে, শীতকালীন সময়ে এক মনোরম দৃশ্য। কদিন পূর্বে পড়ন্ত বিকেলে ঈদগাঁওর কয়েকজন স্বপ্ন তরুন যুবক লেকে ভ্রমনে গেলে এমন মনোমুগ্ধ কর দৃশ্য চোখে পড়ে। বলেছিলাম আজিজ নগরের চেয়ারম্যান লেকের কথা। পাহাড়ের পাদদেশে গড়া এই লেকটি পার্বত্য এলাকার লামার আজিজ নগর অবস্থিত।
লেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে দৈনিক স্থানীয়সহ দূর-দূরান্তের পর্যটকরা আসেন। বর্তমানে চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতি প্রেমীদের মাঝে আকর্ষিত হয়। চারদিকে পাহাড়। পাহাড়ের মোহনায় জলধারা হয়েছে সৃষ্টি।
চারপাশ সবুজ পাহাড়ে বন্দি। খুবই দৃষ্টিনন্দন এক দৃশ্য বটে। চলনা ঘুরে আসি অজানাতে, দেখা হবেই পাহাড়ে। পাহাড়ের ওপর যেন সাদা মেঘের ভেলা। লেকের জলে ভেসে উঠছে পাহাড়সুদ্ধ সেই মেঘের মনোমুগ্ধকর ছবি। পর্যটকদের আকর্ষন হয়ে ওঠছে এই “চেয়ারম্যান লেক”।
লেকে চলছে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা। লেকের জল আর পাহাড় ঘেরা নয়নাভিরাম দৃশ্য যে কাউকেই সহজে কাছে টানে। ক্ষনে ক্ষনে বয়েই যায় দক্ষিনার হিমেল বাতাস। ছোট-বড় আর মাঝারী পাহাড়-টিলা ও গিরিপথ নিয়ে গড়ে উঠা প্রকৃতির এক অপরূপ সৃষ্টি লেকটি। মায়ার জালে বন্দি সবখানে।
লেকটিতে বৈকালিক সময়ে পর্যটকদের পদচারনা মুখরিত হয়ে উঠে। নর-নারী,যুবক-যুবতী,তরুনদের উচ্ছাস যেন সরগরম করে তুলে লেক প্রাঙ্গনে। চার পাশেই পাহাড়ের নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্য বিমোহিত করে পর্যটকদের। বনজ, ফলদ আর ভেষজ বৃক্ষরাজির সমারোহ। প্রেমিক যুগলের নির্মল আনন্দ লেকটি। এটি প্রকৃতি প্রেমীদের মাঝে বিনোদনের নতুন আরেক খোরাক। লেকটিকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাও রয়েছে।
ভ্রমনে আসা অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ মুহসিন ও সেচ্ছাসেবী সংগঠক ইমরান তাওহীদ রানার সাথে কথা হলে তারা জানালেন, অপরুপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি আজিজ নগরের এ লেকটি। দেখতে বেশ মনোমুগ্ধকর। পর্যটকদের নতুন আরেক বিনোদনের খোরাপ। প্রকৃতির এই বিশুদ্ধ পরিবেশ সারাটি জীবন মনে থাকবে।