দারিদ্র্য জয় করে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার উত্তর বিজয়পুর গ্রামের হাফিজুর রহমান ওরফে আরাফাত এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এই ফল করেছে। হাফিজুরের বাবা রেডিও মেকার মনিরুজ্জামান সরদার বলেন, একসময় রেডিও মেরামত করে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালোই ছিলেন। ধীরে ধীরে রেডিওর ব্যবহার কমে যাওয়ায় তাঁর আয়রোজগারও কমে যায়।
২০১৫ সালে স্ত্রী রোজিনা আক্তার অসুস্থ হলে তাঁর চিকিৎসা ও পেটের দায়ে ভিটেমাটি বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে যায় পাঁচ সদস্যের পরিবারটি। এরপর গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের ইজারা করা জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় পরিবারটির। কিন্তু ২০১৬ সালে আগুনে পুড়ে যায় সেই ঘর। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ২০১৯ সালে দেশে শুরু হয় করোনা মহামারি। স্কুলের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। পড়াশোনার প্রতি প্রবল আগ্রহ ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে সে সফল হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে।
হাফিজুর বলে, ‘দিনে প্রাইভেট পড়িয়ে রাতে নিজের পড়াশোনা করেছি। ঠিকমতো বই-খাতা-কলম কিনতে পারিনি। সহপাঠীদের কাছ থেকে বই এনে নোট করে পড়াশোনা করেছি। ছোটবেলা থেকেই ঘরে খাবার থাকত না, না খেয়েই কী করে খরচ জুগিয়ে পড়াশোনা করব? প্রকৌশলী হওয়ার সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য কোথায়?’ হাফিজুরের মা রোজিনা আক্তার বলেন, ‘এত কষ্টের মধ্যেও মোর বাজানে যে পরীক্ষায় ভালো পাস করছে,
এইয়া আল্লাহর দয়া ছাড়া আর কিছুই না। কলেজা লেহাপড়ার লাইগ্যা মুই সবার কাছে সাহায্য চাই।’ হাফিজুরের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. অলি উল্লাহ বলেন, হাফিজুর খুবই মেধাবী। তাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিলে ভবিষ্যতে অনেক ভালো করতে পারবে। তিনি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ জানান।
দারিদ্র্য জয় করে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার উত্তর বিজয়পুর গ্রামের হাফিজুর রহমান ওরফে আরাফাত এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এই ফল করেছে। হাফিজুরের বাবা রেডিও মেকার মনিরুজ্জামান সরদার বলেন, একসময় রেডিও মেরামত করে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালোই ছিলেন। ধীরে ধীরে রেডিওর ব্যবহার কমে যাওয়ায় তাঁর আয়রোজগারও কমে যায়।
২০১৫ সালে স্ত্রী রোজিনা আক্তার অসুস্থ হলে তাঁর চিকিৎসা ও পেটের দায়ে ভিটেমাটি বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে যায় পাঁচ সদস্যের পরিবারটি। এরপর গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের ইজারা করা জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় পরিবারটির। কিন্তু ২০১৬ সালে আগুনে পুড়ে যায় সেই ঘর। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ২০১৯ সালে দেশে শুরু হয় করোনা মহামারি। স্কুলের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়।
পড়াশোনার প্রতি প্রবল আগ্রহ ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে সে সফল হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। হাফিজুর বলে, ‘দিনে প্রাইভেট পড়িয়ে রাতে নিজের পড়াশোনা করেছি। ঠিকমতো বই-খাতা-কলম কিনতে পারিনি। সহপাঠীদের কাছ থেকে বই এনে নোট করে পড়াশোনা করেছি। ছোটবেলা থেকেই ঘরে খাবার থাকত না, না খেয়েই কী করে খরচ জুগিয়ে পড়াশোনা করব? প্রকৌশলী হওয়ার সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য কোথায়?’ হাফিজুরের মা রোজিনা আক্তার বলেন, ‘
এত কষ্টের মধ্যেও মোর বাজানে যে পরীক্ষায় ভালো পাস করছে, এইয়া আল্লাহর দয়া ছাড়া আর কিছুই না। কলেজা লেহাপড়ার লাইগ্যা মুই সবার কাছে সাহায্য চাই।’ হাফিজুরের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. অলি উল্লাহ বলেন, হাফিজুর খুবই মেধাবী। তাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিলে ভবিষ্যতে অনেক ভালো করতে পারবে। তিনি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ জানান।