ধর্ষকের ডিএনএ টেস্ট নবজাতকের পিতৃপরিচয় নিশ্চিতে
গাজীপুরের টঙ্গীতে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী (১৩) পুত্রসন্তানের মা হয়েছে। কিন্তু এখনো মেলেনি সন্তানের পিতৃপরিচয়।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পিতৃপরিচয় নিশ্চিতের জন্য নবজাতক ও ধর্ষণ মামলায় জেলে থাকা অভিযুক্ত মজিবুর রহমানের (৪৫) ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছে পুলিশ।
সরেজমিন জানা গেছে, মামলার বাদী টঙ্গী কলাবাগান বস্তিতে বাস করে দিনমজুরের কাজ করেন। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে ভুক্তভোগী কিশোরী তার তৃতীয় সন্তান। তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্য জায়গায় থাকেন।
অভাব-অনটনের কারণে স্থানীয় দত্তপাড়া, শান্তিবাগ এলাকায় একটি জুস ফ্যাক্টরিতে চাকরি শুরু করে তার কিশোরী মেয়ে। যাতায়াতের সমস্যার কারণে ওই এলাকায় খালাতো বোনের বাসায় থেকে চাকরি করত সে।কিশোরীর খালাতো বোন একটি গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিক এবং বোনজামাই মজিবুর রহমান ছিল বেকার। গত ১২ মে সকালে খালাতো বোন কাজে চলে যান। ভিকটিম কিশোরী কারখানায় রাতের শিফটের কাজ শেষে বাসায় আসে।
এ সময় খালি বাসায় কিশোরীকে ধর্ষণ করে খালাতো বোনের স্বামী মজিবুর। হত্যার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন সময় এর আগেও একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে তার পরিবার জানতে পেরে গত ১৬ সেপ্টেম্বর টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে।
পরীক্ষায় জানা যায়, কিশোরীর গর্ভে ৬ মাস একদিন বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে গত ২১ ডিসেম্বর রাতে পুত্রসন্তান প্রসব করে ওই কিশোরী। নবজাতক সন্তানের নাম রাখা হয় রাফসান হাসান রাজু।
বর্তমানে অভিযুক্ত জেলহাজতে থাকায় এবং পিতৃপরিচয় দিতে অস্বীকার করায় নবজাতকের পিতৃপরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত মজিবুর রহমান ও নবজাতককে নিয়ে গত ১০ জানুয়ারি মালিবাগ সিআইডি ভবনে যান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সেখানে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য উভয়ের নমুনা নেওয়া হয়। দুই মাসের মধ্যে ফল পাবেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
কিশোরীর মা জানান, সন্তান হওয়ার পর মজিবুরের পক্ষ থেকে লোকজন মামলার আপস-মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছে। তারা আমার মেয়ে ও তার সন্তানের ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা দিতে চায়। আমি ক্ষতিপূরণ চাই না, বিচার চাই।
যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। বিষয়টি স্পষ্ট করতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য অভিযুক্ত ও নবজাতকের নমুনা দেওয়া হয়েছে। ফলাফল নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ধর্ষকের ডিএনএ টেস্ট নবজাতকের পিতৃপরিচয় নিশ্চিতে
গাজীপুরের টঙ্গীতে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী (১৩) পুত্রসন্তানের মা হয়েছে। কিন্তু এখনো মেলেনি সন্তানের পিতৃপরিচয়।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পিতৃপরিচয় নিশ্চিতের জন্য নবজাতক ও ধর্ষণ মামলায় জেলে থাকা অভিযুক্ত মজিবুর রহমানের (৪৫) ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছে পুলিশ।
সরেজমিন জানা গেছে, মামলার বাদী টঙ্গী কলাবাগান বস্তিতে বাস করে দিনমজুরের কাজ করেন। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে ভুক্তভোগী কিশোরী তার তৃতীয় সন্তান। তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্য জায়গায় থাকেন।
অভাব-অনটনের কারণে স্থানীয় দত্তপাড়া, শান্তিবাগ এলাকায় একটি জুস ফ্যাক্টরিতে চাকরি শুরু করে তার কিশোরী মেয়ে। যাতায়াতের সমস্যার কারণে ওই এলাকায় খালাতো বোনের বাসায় থেকে চাকরি করত সে।
কিশোরীর খালাতো বোন একটি গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিক এবং বোনজামাই মজিবুর রহমান ছিল বেকার। গত ১২ মে সকালে খালাতো বোন কাজে চলে যান। ভিকটিম কিশোরী কারখানায় রাতের শিফটের কাজ শেষে বাসায় আসে।
এ সময় খালি বাসায় কিশোরীকে ধর্ষণ করে খালাতো বোনের স্বামী মজিবুর। হত্যার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন সময় এর আগেও একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে তার পরিবার জানতে পেরে গত ১৬ সেপ্টেম্বর টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে।
পরীক্ষায় জানা যায়, কিশোরীর গর্ভে ৬ মাস একদিন বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে গত ২১ ডিসেম্বর রাতে পুত্রসন্তান প্রসব করে ওই কিশোরী। নবজাতক সন্তানের নাম রাখা হয় রাফসান হাসান রাজু।
বর্তমানে অভিযুক্ত জেলহাজতে থাকায় এবং পিতৃপরিচয় দিতে অস্বীকার করায় নবজাতকের পিতৃপরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত মজিবুর রহমান ও নবজাতককে নিয়ে গত ১০ জানুয়ারি মালিবাগ সিআইডি ভবনে যান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সেখানে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য উভয়ের নমুনা নেওয়া হয়। দুই মাসের মধ্যে ফল পাবেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
কিশোরীর মা জানান, সন্তান হওয়ার পর মজিবুরের পক্ষ থেকে লোকজন মামলার আপস-মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছে। তারা আমার মেয়ে ও তার সন্তানের ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা দিতে চায়। আমি ক্ষতিপূরণ চাই না, বিচার চাই।
যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। বিষয়টি স্পষ্ট করতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য অভিযুক্ত ও নবজাতকের নমুনা দেওয়া হয়েছে। ফলাফল নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।