নৌকার ১০ পরাজিত প্রার্থীর সংবাদ চাঁদপুরে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ১১ দিন পর নৌকা প্রতীকের পরাজিত ১০ চেয়ারম্যান প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এতে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই তাদের পরাজয় হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলেছেন, সাবেক দলীয় সংসদ এবং এবং বর্তমানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। পরাজিত এসব চেয়ারম্যান প্রার্থীর দাবি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন বর্তমান সংসদ সদস্য মুহম্মদ সফিকুর রহমান ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারেন। তার সমর্থিত এই চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী একাধিক প্রার্থী দাঁড় করানো হয়েছে। ফলে ১০টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক হাত ছাড়া হয়ে যায়। রবিবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে নিজের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জানান দেন পরাজিতরা। এসময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ছাড়াও বর্তমান সংসদ সদস্য মুহম্মদ সফিকুর রহমানের সমর্থিত নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এতে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন, রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী। এতে লিখিত বক্তব্যে এই ১০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর পরাজয়ের নেপথ্যেও কারণ এবং দলীয় দ্বন্দ্বের জন্য সরাসরি দায়ী করা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য ড. শামছুল হক ভূঁইয়া এবং বর্তমানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমানকে।
তাদের অভিযোগ হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্য মুহম্মদ সফিকুর রহমান ফের যেন নতুন করে প্রার্থীতা পেতে না পারেন। তার জন্যই এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রভাবশালী এই দুই নেতা একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করিয়ে নৌকার ভরাডুবি নিশ্চিত করেছেন। এই জন্য প্রশাসন ও পুলিশকে ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, বিগত ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাবেক সংসদ সদস্য ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার সমর্থনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান হন রূপসা উত্তর পরিষদের ওমর ফারুক, গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের সোহেল চৌধুরী এবং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের আব্দুল গনি পাটোয়ারী বাবুল। আর তারাই এখন এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গিয়ে উল্টো দায় চাপাচ্ছেন ওই নেতার বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুযোগ বুঝে রঙ পাল্টে তারা এখন পক্ষ নিয়েছেন, বর্তমান সংসদ সদস্য মুহম্মদ সফিকুর রহমানের।