‘পরাজিত’ নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করার আবেদন
ভোট গ্রহণের চার দিন পর সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করতে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নৌকার প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. সালাহ উদ্দিন ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর এই আবেদন করেন।
লিখিত আবেদন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার ঘুলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি কক্ষ থেকে তিনটি খামে সিলমোহর করা চেয়ারম্যান পদে ৮০৯টি সিল মারা ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়। পরে কেন্দ্রটির ভোট পুনর্গণনায় চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোকারম হোসেনের ১৩৭টি ভোট কমে যাওয়ায় তাঁর মোট ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ১২৪। আর আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম রাজা চৌধুরীর মোট ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ২০৮। চশমা প্রতীকের প্রার্থীর চেয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ৮৪ ভোট বেশি পাওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণার জন্য লিখিত আবেদন জানানো হয়।
৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঘুলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান, সহকারী শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন কক্ষ পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে তিনটি খামের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে সিল মারা ব্যালট পেপার দেখতে পান। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি ইউএনও মো. মুনতাসির হাসানকে মুঠোফোনে জানান। বেলা পৌনে ২টার দিকে কক্ষের একটি কোনা থেকে ৮০৯টি সিল মারা ব্যালট পেপার উদ্ধার করেন ইউএনও। বেলা দুইটার দিকে ইউএনওর উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক এসব ব্যালট পেপার প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা আল মাহমুদ হাছান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপারগুলো গণনা শুরু করেন। গণনা শেষে দেখা যায় যে ৮০৯টি ব্যালট পেপারের মধ্যে চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোকাররম পেয়েছেন ৩৪৯ ভোট, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিম রাজা চৌধুরী পেয়েছেন ২৬৪ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী জুনায়েদ চৌধুরী পেয়েছেন ৫৯ ভোট।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিম রাজা চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সব ভোটকেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিম রাজা চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোকাররম হোসেনের চেয়ে ৮৪ ভোট বেশি পেয়েছেন। তাই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য আমি প্রার্থীর পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছি।’
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক তপন কান্তি তালুকদার বলেন, ভুলবশত তিনটি প্যাকেট সম্ভবত ওই ভোটকেন্দ্রে থেকে গিয়েছিল। ওই দিন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্টদের নিয়ে ব্যালট পেপার ভালোভাবে চেকও করা হয়েছিল। এখন ফল পরিবর্তন হয়েছে। সেদিন কীভাবে কী হয়েছে, সেটি বুঝে উঠতে পারছেন না।
সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আল মাহমুদ হাছান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দাপ্তরিক প্রয়োজনে সিলেটে আছি। এ–সংক্রান্ত একটি আবেদন আমার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। আবেদনটি পড়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘পরাজিত’ নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করার আবেদন
ভোট গ্রহণের চার দিন পর সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করতে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নৌকার প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. সালাহ উদ্দিন ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর এই আবেদন করেন।
লিখিত আবেদন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার ঘুলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি কক্ষ থেকে তিনটি খামে সিলমোহর করা চেয়ারম্যান পদে ৮০৯টি সিল মারা ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়। পরে কেন্দ্রটির ভোট পুনর্গণনায় চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোকারম হোসেনের ১৩৭টি ভোট কমে যাওয়ায় তাঁর মোট ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ১২৪। আর আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম রাজা চৌধুরীর মোট ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ২০৮। চশমা প্রতীকের প্রার্থীর চেয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ৮৪ ভোট বেশি পাওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণার জন্য লিখিত আবেদন জানানো হয়।
৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঘুলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান, সহকারী শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন কক্ষ পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে তিনটি খামের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে সিল মারা ব্যালট পেপার দেখতে পান। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি ইউএনও মো. মুনতাসির হাসানকে মুঠোফোনে জানান। বেলা পৌনে ২টার দিকে কক্ষের একটি কোনা থেকে ৮০৯টি সিল মারা ব্যালট পেপার উদ্ধার করেন ইউএনও। বেলা দুইটার দিকে ইউএনওর উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক এসব ব্যালট পেপার প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা আল মাহমুদ হাছান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপারগুলো গণনা শুরু করেন। গণনা শেষে দেখা যায় যে ৮০৯টি ব্যালট পেপারের মধ্যে চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোকাররম পেয়েছেন ৩৪৯ ভোট, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিম রাজা চৌধুরী পেয়েছেন ২৬৪ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী জুনায়েদ চৌধুরী পেয়েছেন ৫৯ ভোট।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিম রাজা চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সব ভোটকেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিম রাজা চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোকাররম হোসেনের চেয়ে ৮৪ ভোট বেশি পেয়েছেন। তাই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য আমি প্রার্থীর পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছি।’
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক তপন কান্তি তালুকদার বলেন, ভুলবশত তিনটি প্যাকেট সম্ভবত ওই ভোটকেন্দ্রে থেকে গিয়েছিল। ওই দিন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্টদের নিয়ে ব্যালট পেপার ভালোভাবে চেকও করা হয়েছিল। এখন ফল পরিবর্তন হয়েছে। সেদিন কীভাবে কী হয়েছে, সেটি বুঝে উঠতে পারছেন না।
সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আল মাহমুদ হাছান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দাপ্তরিক প্রয়োজনে সিলেটে আছি। এ–সংক্রান্ত একটি আবেদন আমার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। আবেদনটি পড়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’