মোহাম্মদ কেফায়েত উল্লাহ, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
জেলা ভিত্তিক ইজতেমা আয়োজনের অংশ হিসেবে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীর তীরে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তবলীগ জামায়াতের(সাদ পন্থী) ৩ দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা। জেলা সদরের অদূরে জিরোমাইল এলাকার মার্কাজ মসজিদ সংলগ্ন মাঠে এ ইজতেমার আয়োজন করা হচ্ছে।
রবিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে ইজতেমার ময়দান পরিদর্শন করেন- খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। ইজতেমা আয়োজন সফল ও স্বার্থক করতে আর্থিক সহায়তা এবং ইজতেমায় আগত মুসল্লীদের জন্য রিং স্ল্যাব (অস্থায়ী লেট্রিন) তৈরি, খাবার এবং ব্যবহারের জন্য পানির ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলেন তিনি।
এছাড়া পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহযোগীতা করা হবে জানিয়ে আখেরি মোনাজাতে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাসহ বিশ্ব শান্তি কামনা করে সকল মানুষের জন্য দোয়া করার জন্য মুসল্লীদের প্রতি আহ্বান জানান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।
এ সময় পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঞা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংহ্লামং চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, রেম্রাচাই চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের স্টিমেটর মো. আয়ুব আলী আনছারী, জেলা ছাত্রলীগ আহ্বায়ক অভিক মোহন ত্রিপুরা ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এজতেমা সূত্রে জানা যায়, আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবং শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২ টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনের এ ইজতেমা।
ইজতেমা ময়দানে খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে অন্তত আট থেকে দশ হাজার মুসল্লীর সমাগম ঘটতে পারে এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তবলিগের মুরব্বিরা তিন দিনব্যাপী এ আঞ্চলিক ইজতেমায় গুরুত্বপুর্ণ বয়ান পেশ করবেন বলে জানা যায়।