এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও প্রতিনিধি
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে জেঁকে বসছে শীত। বাড়ছে দুর্ভোগ। শীত নিবারণে নিম্ন আয়ের মানুষ ফুটপাতে অল্প দামে শীত কাপড় কিনতে ভিড় করছে। রাত যতই গভীর হয় ততই শীত বৃদ্ধি পায়। কুয়াশা চাঁদরে ঢাকা পড়ে। বাড়ীর চালে টুপুর টাপুর কুয়াশার শব্দ শীত আগমনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। জেলার বহুল আলোচিত বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারসহ বৃহৎ এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের হাট বাজারেও এই শীত মৌসুমে তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপনী বিতানের চেয়ে ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রি জমে উঠছে। গ্রামের সাধারণ লোকজন এ মৌসুমে অল্পদামে গরম কাপড় কিনতে পেরে খুশিও হচ্ছেন।
১৩ই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে বিগত দুয়েকদিন ধরে ফুটপাতে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা গরম কাপড় বিক্রি করার দৃশ্য। যেখানেই ক্রেতারা ভীড় জমায়। এছাড়াও বিভিন্ন উপবাজারে শীতের কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে।
এক ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলেই তিনি জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরো শীত মৌসুমেও গরম কাপড় বিক্রি করে যাচ্ছি। তবে দামে কম ও মানে ভাল বলেও উল্লেখ করেন।
ফুটপাতে ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, চলতি মৌসুমে হরেক রকমের গরম কাপড় ব্যবসা নতুন রুপে শুরু করতে যাচ্ছি।
ঈদগাঁওসহ জেলাব্যাপী ধীরে ধীরে শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে। বাজারে বিভিন্ন বিপনি বিতানে শীতকাপড়ের দাম চড়া হওয়ায় এখন ফুটপাতমুখী অনেকে। সেখানে স্বল্পদামে শীতের কাপড় পাচ্ছে। আবার গ্রামাঞ্চলের নিম্ন আয়ের লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে এই শীত মৌসুমে অর্ধাহারে অনাহারে থেকেও ছেলেমেয়ে দের জন্য বা নিজেদের জন্য শীতকাপড় কিনতে পারছেনা।
আরো দেখা যায়, অনেকে সারাদিন রিক্সা চালিয়ে ক্লান্ত শরীরে পরিবার-পরিজনের জন্য এক মুঠো খাবার জোগাড় করতে পারলেও শীত নিবারনের লক্ষ্যে নেই কোন গরম কাপড়। এই শীত মৌসুমে অসহায়-পীড়িত মানুষের পাশে বিত্তবানদেরকে এগিয়ে আসার আহবান সচেতন মহলের।
উল্লেখ্য, ঈদগাঁও উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শীত মৌসুমে অসহায় পথকলি ছিন্নমূল পীড়িত লোকজনের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করার আহবান জানিয়েছেন সাধারন মানুষ। সকল বিত্তবান কিংবা নানা সংগঠনের উচিত শীতের শুরুতেই অসহায়-পীড়িত মানুষদের পাশে দাড়ানো,শীতবস্ত্র প্রদান করে সহায়তার হাত বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন।
সেই প্রয়োজনের তাগিদে সামাজিক সংগঠনগুলো কাজ করলে অনেক শীতার্ত মানুষ শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পাবে। কারণ একটি শীতবস্ত্র একজন অসহায় শীতার্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে।রাতে ঘুমানোর সময় গ্রামাঞ্চলের অনেকেই গরম কাঁথা ব্যবহার করছে। সারাদিন কড়া রোদ থাকলে ও সন্ধ্যার পর ঠান্ডায় শান্ত হয়ে আসছে প্রকৃতি।